আমরা সবাই একেকটা দারুন আইডিয়া, চিন্তা, ব্যবসায়িক পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমে পড়েছি। লক্ষ্য একটাই – একদিন ‘অনে-ক’ বড় হবো (ইন শা আল্লাহ)!
অনেকেই হয়তো সে জন্য নিজেকে বেশ প্রস্তুত করে নিয়েছি ইতিমধ্যেই। কিন্তু, আমাদের প্রত্যেকেরই সর্বাগ্রে “নিজের মধ্যেই” যে পরিবর্তন আনা দরকার তা হলো *মাইন্ডসেট* বা *নিজস্ব চিন্তা পদ্ধতি।* আমাদের চিন্তার গতিধারা পরিবর্তন না করতে পারলে কিন্তু আমরা লক্ষ্যচ্যুত হয়ে ছিটকে অনেক দূরে চলে যেতে পারি। তাই চলুন জেনে নিই, একজন সফল ব্যবসায়ী কিভাবে নিজের চিন্তাকে উন্নত করে।
সফলরা অন্যদের কে সহযোগিতা করেই ব্যবসায় এগিয়ে যায়। অন্যদেরকে সাথে রেখেই সামনে পা বাড়াতে সক্ষম হয়। তারা সাধারণত পরোপকারী, সহযোগী, ও অন্যের প্রয়োজন পূরণ করার মাধ্যমেই তাদের ব্যবসার উন্নতি ঘটায়। সমাজে তারা পজিটিভ ইমপ্যাক্ট তৈরী করে।
তারা অর্থ উপার্জন করে মূল্যবোধ বৃদ্ধির মাধ্যমে, কেবল মূল্য বৃদ্ধির মাধ্যমে নয়। তাদের ব্যবসা থেকে প্রাপ্ত কল্যাণ, উপযোগিতা ও মূল্যবোধ মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়। অন্যের কাছ থেকে কেবল নেওয়ার মাধ্যমে নয়, অন্যকে দেওয়ার মাধ্যমেই তারা উন্নতি করে।
তারা প্রতিনিয়তই নতুন নতুন কল্যানমূখী চিন্তা চেতনায় বিভোর থাকে। এমন সব চিন্তা তাদের মাথায় ঘুরে, যেগুলু মানুষের কষ্ট লাঘব করে, মানুষের জীবনকে সহজ করে দেয়, আর মানুষের জন্য যা প্রয়োজনীয় হয়ে উঠে। যার কারণেই, তাদের সেই চিন্তা যখনই ময়দানে ছাড়া হয় তখনই অন্যরা তা লুফে নেই, এবং তারা ব্যবসায় সফলতা অর্জন করতে পারে।
তারা সবসময় ভাল ডীল করতে জানেন, দরকষাকষীতে তারা উস্তাদ! এমন ভাবে দরকষাকষী করে, যাতে উভয় পক্ষই লাভবান হয়। একপক্ষকে জিতিয়ে দেওয়ার জন্য অন্যকে ঘায়েল করার মানসিকতা তাদের নেই। কারন কাউকে ঘায়েল করতে চাইলেই, সে নিজেও অন্যের কাছে একদিন ঘায়েল হবে। তারা সবসময় ‘উইন-উইন’ ডীল করতে জানেন।
তারা শত্রূদের কে কাছে টেনে আনতে জানেন, বরং তাদেরকে ব্যবসায়ের কল্যানে কাজে লাগাতে জানেন! তারা মিলে মিশে কাজ করতে ভালবাসেন, প্রতিপক্ষ রেখে মাথার দুশ্চিন্তা বাড়াতে চান না।
তারা অল্প কয়েকটা কাজে মনোনিবেশ করে সফল হতে জানেন। খুব বেশী কাজ একসাথে হাতে নিয়ে ব্যর্থ হতে চান না।
তাদের কাছে কোনো কাষ্টমার ফেরত যায় না। এবং ভালো কাষ্টমারদের কে কিভাবে আকর্ষণ করতে হায়, তা তারা ভাল করেই জানেন।
আর যখনই কোনো অসুবিধায় পড়েন, তারা ছুটে যান তাদের মেন্টরদের কাছে। তারা যত সফলই হোন না কেন, কেউই মেন্টর বা পরামর্শকের কথা ছাড়া কাজ করেন না। নিজে নিজে ভুল পথে চলার ভয়ংকর সিদ্ধান্ত তারা নেন না। অন্যের মতামতেও গুরুত্ব দেন।